ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নিবন্ধন না থাকায় রাজবাড়ীতে আটটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় রাজবাড়ীর রাবেয়া ক্লিনিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২৯ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা, কালুখালি উপজেলা ও পাংশা উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান চালিয়েছেন।
সিলগালা হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাজবাড়ী শহরের চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক, পাংশা উপজেলার দুটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং কালুখালি উপজেলার দুটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ীর সহকারী পরিচালক কাজী রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজবাড়ী পৌর শহরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোয় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিবন্ধন না থাকায় আল রাজি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল ক্লিনিক রাজবাড়ী, মেরি ক্লিনিক ও শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া লাইসেন্স নবায়নের জন্য বলাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজবাড়ী মেডিকেল সেন্টার, নুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খিদমাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টরস কেয়ার, রাবেয়া হাসপাতাল ও যমুনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয় ও সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে পাংশা উপজেলায় সহকারী কমিশনার ভূমি নুজহাত তাসনিম আওনের নেতৃত্বে উপজেলা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মা ও শিশু ডায়াবেটিক সেন্টারের নিবন্ধন না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করা হয়, এনআর ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন না করায় ও ভুয়া লাইসেন্স দেখানোয় ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে কালুখালি উপজেলার দুটি ক্লিনিকের নিবন্ধন না থাকায় তা বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসনে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর সহকারী পরিচালক কাজী রাকিবুল হাসান জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযান চলমান আছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই, সেগুলো সিলগালা এবং যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেগুলোকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ অভিযানে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।
রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সায় খান বলেন, সারা দেশে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অবৈধ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসক নামধারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।