করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাই চলমান লকডাউনের তোয়াক্কা না করে বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে থামছে না করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই। এক দিনেই রেকর্ড আক্রান্তসহ নগরীর চেয়ে উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে বেশি। ফলে লকডাউন বাস্তবায়নে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানালো চট্টগ্রামে প্রশাসন। গতকাল প্রশাসনের এক বৈঠকে এ কঠোর বার্তা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, কঠোর লকডাউন চলাকালীন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনসহ, সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, বিনা কারণে বের না হওয়া, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা, যাতায়াতকারীদের তল্লাশিসহ জরিমানা করছে। গতকাল জেলা প্রশাসনের ১৪ জন এবং বিআরটিএর দুজনসহ ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নগরীতে যৌথ অভিযান পরিচালনাও করা হয়েছে।
এছাড়া মানুষকে সচেতন করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি গাড়িতে মাইক বসিয়ে নগরের অলিগলিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারব।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৮৯০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৬২ জনের। এর মধ্যে নগরীতে ৪৪৯ জন এবং উপজেলায় ২১৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৬১ হাজার ৫৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে নয়জন। এর মধ্যে সাতজন উপজেলায় এবং দুজন নগরীতে। জেলার ১৪ টি উপজেলার প্রায় প্রতিটিতেই বেড়েছে সংক্রমণ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, আমার এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্টে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে আটজনে উন্নীত করা হয়েছে। টহল টিমও আছে। সবচেয়ে বড় কথা সেনাবাহিনীর সদস্যরা মইজ্যারটেকসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছেন। পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগী পরিবহনসহ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যাদের চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের চলাচলে সহযোগিতা করছি।
ভোক্তাকণ্ঠ/এনএইচ