চট্টগ্রামের বাসিন্দা জনাব ওয়াহিদুল ইসলাম আসাদ চলতি বছরের ৩১ শে জানুয়ারি মেসার্স আরব আমিরাত ফার্নিচার হাউসে ৬৫ হাজার টাকায় একটি খাট এবং ডাইনিং টেবিল অর্ডার করেন। এই ফার্নিচার হাউসের দেয়া ডেলিভারির সময়সীমার ৫ দিন পর পণ্য পৌঁছলেও আকাঙ্ক্ষিত পণ্যের সাথে গুনে ও মানে অনেকাংশ বৈষম্য রয়েছে বলে জানান ক্রেতা।
তিনি বলেন, ‘নিজের ব্যবহারের জন্য বলির হাট এলাকার ফার্নিচার প্রস্তুতকারী ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আরব আমিরাত ফার্নিচার হাউস হতে একটি খাট ও ডাইনিং টেবিল অর্ডার করি। উক্ত আসবাব অবশ্যই সেগুন কাঠের, আমার পছন্দ করা ভার্নিশে ও পন্যের মান ঠিক রেখে তৈরি করবেন, এই শর্তে অর্ডার নেন। এবং গত ১০/০৩/২৩২১ তারিখে অর্ডারকৃত আসবাব সমূহ ডেলিভারি প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত পণ্যে আমার চাহিদামত ভার্নিশ না দেয়া, টেবিলের এবং চেয়ারের মধ্যভাগ ফাঁকা হয়ে যাওয়া, চেয়ারের অসমতল পা সহ দু’একদিন ব্যবহারে বিভিন্ন অসামঞ্জস্য লক্ষ করি। আমি বিক্রেতা মোঃ ইব্রাহিম কে সরাসরি ফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এসব সমস্যার কথা বলি। কিন্তু উনি আমাকে কোন সমাধান না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে চলেন।’
এমতাবস্থায় ক্রেতা নিরূপায় হয়ে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে এর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
আমরা জানি, আধুনিক হচ্ছে দেশ সাথে আধুনিক হচ্ছে দেশের মানুষ। আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে জীবনকে সহজ করতে চালু হয়েছে এবং হয়ে চলেছে নানান ধরনের সেবা। সেই সাথে সেবা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে অনেক ভাবেই প্রতারণা করে যাচ্ছে প্রতারকরা। বিভিন্ন উপায়ে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। তাই ভোক্তাদের জানতে হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রতারণা, প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করার মত আরো অনেকগুলো বিষয়ে ক্রেতা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। করতে পারেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্রে অভিযোগ। তবে জেনে রাখা জরুরি, প্রতিকারের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করলে অবশ্যই তার প্রমাণ থাকতে হবে।
ইদানিং ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স এর বিরুদ্ধে অনেক বেশি প্রতারণার অভিযোগ আসছে। তাই বিশ্বাসযোগ্য সাইট বা পেজ থেকে অর্ডার দেওয়া কিছুটা হলেও প্রতারণার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া সেবা অথবা পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে রশিদের সফট কপি নেয়া নিশ্চিত করতে হবে ভোক্তাদের, কেননা পরবর্তীতে প্রতারিত হলেও অভিযোগের সুযোগ রয়েছে।