চলতি বছরের মধ্যেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের জন্য অপটিক্যাল ফাইভার ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৭১টি দ্বীপ সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। হাওর ও দুর্গম চরসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২ হাজারেরও বেশি ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ফোরাম এফোরএআই আয়োজিত ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২১ (প্রস্তাবিত) রিভিসান শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটুআই এর পলিসি এডভাইসার আনির চৌধুরী, রবি‘র সিইও মাহতাব আহমেদ,অ্যামটবের সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ এবংএফোরএআই উপপরিচালক এলিনুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফোরএআই এর কান্ট্রি সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবর।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্রডব্যান্ড পলিসির খসড়া প্রণয়নে এফোরএআই এর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সামনের দশবছরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি লাগসই নীতিমালা সরকার তৈরি করছে। এই নীতিমালাকে কেবল ব্রডব্যান্ড নীতিমালা নয় এটি সবদিক বিবেচনায় একটি পুর্ণাঙ্গ ইন্টানেট নীতিমালা বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কম্পিউটার বিকাশের পথপ্রদর্শক মোস্তাফা জব্বার দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশের ধারবাহিকতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ মোবাইল যুগে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের পর ২জি , ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি নেটওয়ার্ক যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভজি প্রযুক্তি আগামীদিনের শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে। আমরা কৃষিতেও এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারবো। সরকার টেলিকম এক্ট নিয়েও কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযোগ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডিজিটাল মহাসড়ক হিসেবে কাজ করছে। করোনাকালে জীবনযাত্রা সচল রাখতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, আমরা টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তার চেষ্টা করছি। এব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের আলোচনাও হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে কিভাবে স্মার্টফোন সরবরাহ করা যায় এ বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। শিক্ষায় ডিজিটাল কনটেন্টের উদ্ভাবক ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে ডিজিটাল কনটেন্ট এর চাহিদা পুরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন,করোনাকালে স্থানীয় কনটেন্ট এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই বিবেচনায় করে পাঠ্যক্রম ডিজিটাল কনটেন্টে রূপান্তর করা উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে শ্যামসুন্দর সিকদার ব্রডব্যান্ড নীতিমালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এটি একটি সময়োচিত পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। এই জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।