একদিকে ভেজাল, অন্যদিকে অতিরিক্ত মূল্য। সব মিলিয়ে আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যেন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ভোগান্তি নগরবাসীর জন্য। প্রতিনিয়ত অভিযান চললেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় কোনো সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
প্রয়োজনের কাছে অসহায় নগরবাসী। আর রমজান আসলে যেন তা বেড়ে যায় বহুগুণে। অতিরিক্ত মূল্য আর ভেজাল পণ্য-একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে যাচ্ছে ভোক্তাদের দুর্ভোগ।
কয়েকজন ভোক্তা বলেন, প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
অভিযোগ অকপটে স্বীকার করলেও মূলত পাইকারি বাজারের অস্থিরতাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। এই ভোগান্তি সহনীয় পর্যায়ে আনতে বছরজুড়েই চলে অভিযান। তবে রমজানকে সামনে রেখে তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে জনবল সংকট।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে পারলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে আমাদের জনবলের সংকট রয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, রমজান আসলে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হয়। এই সময়ে অধিক মুনাফার লোভে অনেকে ভেজাল করতে চান।
স্থায়ী সমাধান চান ভোক্তারা। সমাধান কোথায়? প্রশ্নের উত্তরে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের পাশাপাশি অভিযান চলমান রাখার কথা জানাল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, যারা ভেজাল করেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। বারবার কেউ এই কাজ করলে তার লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানানো হবে।
বাজার তদারকির সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তা দ্রুত লিখিত আকারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে দেয়ার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের।
সংবাদ উৎসঃ সময় টিভি