নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধানের ভড়া মৌসুমে চালের দাম হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাবু বাজার এলাকায় চালের আড়তে অভিযান চালায় ভোক্তা কর্মকর্তারা। আড়তে টানানো মূল্য তালিকার সঙ্গে ক্রেতাদের দেয়া ভাউচারের দামে তারতম্য পাওয়া যায়। দেখা যায়, ২৯ চালের দাম টানানো মূল্য তালিকায় লেখা রয়েছে ৪৮-৫০ টাকা। কিন্তু ভাউচারে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া চাল ক্রয়ের পাকা রশিদ দেখাতে না পাড়ায় নিলয় রাইস এজেন্সীকে সতর্কতামূলক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বড় বড় কোম্পানি চালের ব্যবসায় নেমে বেশি দামে ধান কিনছে। এতে ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা অগ্রিম টাকা দিয়েও চাল পাচ্ছি না। মিল মালিকেরা চাল পর্যাপ্ত চাল দিচ্ছে না। চালের মূল জায়গায় দাম বৃদ্ধি পেলে পাইকারী বাজার বা খুচরা বাজারে দাম বাড়বে।
চালের আড়তে অভিযানের বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে আজ বাবু বাজারে চালের আড়ৎগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে এক আড়তে টানানো দামের সঙ্গে ক্রেতাদের দেওয়া ভাউচারের দামে তারতম্য খুঁজে পাওয়া গেছে। এছাড়া আড়ৎদার কোথা থেকে চাল কিনেছে বা কত দরে কিনেছে তার কোন পাকা রশিদ দেখাতে পারেনি। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্কতামূলক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পবর্তীতে এ ধরনের ভুল করলে বড় ধরনের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
পরে মিটফোর্ড এলাকায় ফার্মেসীতে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এসময় ম্যাক্সওয়েল হাসপাতাল ফার্মেসী, বাঁধন হাসপাতাল ফার্মেসী এবং সোনার বাংলা মেডিকেল স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, সিরিঞ্জ, ইনজেকশন, সাপোজিটরি পাওয়ায় অধিদপ্তরের ৫১ ধারায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার বিষয়ে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আজ আমরা তিনটি ফার্মেসীতে তদারকি করেছি। প্রত্যেকটি ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু ওষুধের দাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এসব অপরাধে তিন ফার্মেসীকে ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফার্মেসীর মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা স্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।
আরইউ