ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানুষের ভিড় না থাকলেও বিভিন্ন মোড় থেকে যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার বাস চলতে দেখা গেছে। সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও রাজধানীর শেষ প্রান্ত যাত্রাবাড়ী-রায়ের বাগ এলাকায় দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায় নি তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়।
বিনোদন পরিবহনের চালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ঈদ আইয়া পড়ছে, বাসার মাইনষের লাইগ্যা কিচ্ছুই কিনতে পারিনি। গাড়ি না চালাইয়া উপায় নাই।’মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামমুখী বাসগুলো চিটাগাং রোড বাস স্ট্যান্ডে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে বাসের চালক ও তাদের সহকারীরা ডেকে ডেকে বাসে যাত্রী তুলছেন।
ঈশিতা পরিবহনের চালক বলেন, ‘আয় রোজগার নাই। কী করমু? পেটের দায়ে গাড়ি লইয়্যা বাইর হইছি।’
তিশা পরিবহনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, ‘যানজটের পাশাপাশি বাস কম থাকায় গতকাল গ্রামে যেতে পারিনি।গতকাল রাত থেকে যানজট কমে গেছে। আজকে ইলিয়টগঞ্জ যাচ্ছি। এক সিটের ভাড়া ৫৫০ টাকা।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন , ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত দূরপাল্লার বাসগুলোকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় আটকে দিচ্ছে পুলিশ।’