চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার ই-কমার্স সাইট ‘জিওফি’র চটকদার বিজ্ঞাপনে হাজার হাজার গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অনিবন্ধিত এই প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ‘সিনেমা হলপাড়া, চুয়াডাঙ্গা’ দেওয়া থাকলেও তাদের কোনো অফিসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য দিচ্ছে না জিওফি। আবার রিফান্ডও দিচ্ছে না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরগুলোতে ফোন করলে কল যায় না। নেই কোনো হেল্প লাইনও। রিফান্ড বা ডেলিভারির বিষয়ে কথা বললেই ফেসবুক থেকে ব্লক করা হয়। কমেন্ট করলেও মুছে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প দামে মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য পরিচিতি পায় জিওফি। মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পণ্য ২১/৩৩ দিনে ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ৪৫ দিনেও দেয়নি জিওফি। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে এখনও পণ্য কিংবা টাকা ফেরত পাননি হাজারো গ্রাহক। খোদ প্রশাসনও জানে না এই প্রতিষ্ঠানটির কথা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে ব্যবসা। তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরগুলোতে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিওফি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে প্রতিদিনের কার্যক্রম পোস্ট করে থাকে। যে নম্বরটি (০১৯৪০-৩৪২৬৪৭) দিয়ে তারা রিফান্ড করছে সেটি নগদের এজেন্ট নম্বর।
নগদের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয় থেকে জানা যায়, এই এজেন্ট নম্বরটি ই-কমার্স সাইট আদিয়ান মার্টের। তারা গ্রাহকের টাকা রিফান্ড দিয়ে থাকে এই নম্বর থেকে। এজেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে এম আর ট্রেডার্স।
সরেজমিনে আদিয়ান মার্টের অফিসের নিচে গিয়ে এম আর ট্রেডার্সের সন্ধান মেলে। দোকানের ওপরে আদিয়ান মার্টের লোগো দেওয়া। আদিয়ান মার্টের সব মালামাল এম আর ট্রেডার্স থেকে গ্রাহকদের ডেলিভারি দিতে দেখা যায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, চুয়াডাঙ্গাতে জিওফি নামে কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে বলে জানা নেই। এটা অনিবন্ধিত। গত দুদিনে আমার কাছে বেশ কিছু গ্রাহক জিওফির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ ডিটেইলস নিয়েছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।