সংগৃহীত
পিডিবির গ্রাহক হেলাল উদ্দিনের এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকা। হেলালের স্ত্রী নারগিস আক্তার জানান আমাদের সাড়ে ৭শতাংশের বাড়িভিটে আর কদমতলী বাজারের ৩টি দোকান বিক্রি করে দিলেও এ বিলের টাকা হবেনা। নভেম্বর মাসে্র এই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের মাধ্যমে জানা যাই , নভেম্বর মাসে্র এই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। হেলাল উদ্দিনের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকা। অক্টোবর মাসেও বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৮ হাজার ১১৪ টাকা। ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ১২৯৬০। কিন্তু এক মাসে রিডিং ৯৩ হাজার ৮১৪ ইউনিট উঠে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করেও কোনও প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ ও ভুতুড়ে বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া কদমতলী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
শুধু হেলাল উদ্দিন নন একই গ্রামের আরো বেশ কয়েকজনের জানুয়ারির বিল স্বাভাবিক থাকলেও কয়েক গুণ বেশি বিল আসে ফেব্রুয়ারির। এতে বিপাকে পড়ে যান তারা। তাদের অভিযোগ, মিটার না দেখেই বিদ্যুৎ বিভাগ ভুতুড়ে বিল করেছে। বিদ্যুৎ মিটারে ইউনিট কম থাকলেও বিল করা হয়েছে তার থেকে বেশি ইউনিটের।
এ বিল প্রসঙ্গে পিডিবির গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) নিরঞ্জন কুন্ডু জানান, অনুমোদনবিহীন কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আইনের ৩৮ ধারায় গ্রাহকদের এ জরিমানা করা হয়েছে। আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের কারণে তদন্তসাপেক্ষে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়লে বিল ঠিক করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক