ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দুই ডোজ টিকা না নিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, যারা দুই ডোজ টিকা পাননি তারা অনলাইনে ক্লাস করবে।
এদিকে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান শুরু হলেও প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে এখনও দ্বিতীয় ডোজের বাইরে সাড়ে ৩৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত বৃহস্পতিবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) টিকা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকার আওতায় এসেছে এক কোটি ১৭ লাখ ৭১ হাজার ১১৫ জন। এখনও টিকার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন।
গতকাল সারা দেশে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ১২৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এক লাখ ৩৯ হাজার ২২৭ জন ছাত্র এবং এক লাখ ৩০ হাজার ৮৯৯ জন ছাত্রী। একই সময়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দুই লাখ ৬৮ হাজার ২২৮ জন ছাত্র এবং দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭৩০ জন ছাত্রী।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য মাউশির হাতে না থাকলেও অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আছে কমবেশি ১ কোটি ২০ লাখ। যাদের অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছে ১০ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৬১০ জন। আর দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে ৮ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ১৩৫ জন মানুষ। এছাড়াও এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭১২ জন।
দেশে এখন পর্যন্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।