নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত প্রচার মাধ্যম হিসেবে পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশন সাংবাদিকতায় অভাবনীয় পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সব মাধ্যমসূহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কনটেন্টসমূহ প্রকাশ করার সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পাতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আয়োজিত মিডিয়া কনভার্জেন্স শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসেক কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাকালে সাংবাদিকতা আগের ধারায় ছিলনা এবং করোনা পরবতীী সময়েও তা আর আগের জায়গায় ফিরে যাবে না বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘আবাস’ এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক জনাব মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশন পুরো সভ্যতা থেকে কাগজের এনালগ অস্তিত্ব বিদায় নিবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার জানতেই হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা হরফ প্রচলনের ধারাবাহিকতায় দেশে সীসার হরফে বাংলা লেখার যুগের অবসান হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিজয় বাংলা কী বোর্ড বিজ্ঞান সম্মত কী বোর্ড হিসেবে সরকারিভাবে গৃহীত হয়। তিনি বলেন বাংলা ভাষা পৃথিবীর ৩৫ কোটি মানুষের মাতৃভাষা । ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সহযোগিতায় বাংলা এখন যে কোন ডিজিটাল ডিভাইসে লেখার উপযোগী হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।
সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ইউনিভার্সিটির সায়েন্স মালোয়েশিয়ার স্কুল অফ কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘স্ট্রিমিং টিভি অ্যান্ড নিউ ভিউয়িং কালচার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব।
অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, যতদিন বাংলা হরফ, বাংলা ভাষা কম্পিউটারে থাকবে ততদিন মোস্তাফা জব্বারের নাম অমর হয়ে থাকবে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বাংলা প্রিন্টিংয়ের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা আমাদের বাংলা ভাষার বিকাশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।