ডিজিটাল কোরবানির হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান ডিজিটাল কোরবানির হাট থেকে পশু কিনলে ‘হাসিল’ দিতে হবে না। যারা হাটে গিয়ে সশরীরে গরু কিনবেন তাদের অবশ্যই হাসিল দিতে হবে।
এ পদ্ধতির মাধ্যমে যিনি গরু কিনবেন, সেই টাকা তাৎক্ষণিক বিক্রেতা পাবেন না। প্রথমে এ টাকা চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হিসাব নম্বরে। যখন ক্রেতা নিশ্চিত করবেন গরুটা পেয়েছেন এবং কোনো অভিযোগ নেই তখন গরুর মালিকের ব্যাংক হিসাবে টাকা যাবে, জানান তিনি।
‘অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরকারি এবং বেসরকারি পক্ষ যুক্ত করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার আস্থা ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও একশপ’র মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত আছে।’
করোনার কারণে এবারও অনলাইনে পশু বিক্রিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। সারাদেশের বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে এবার এক লাখ পশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এই হাটে ২৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল। আজ থেকে ডিজিটাল হাটে কেনাকাটা করা যাবে। চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ দেখুন: কোরবানির, ডিজিটাল হাট