ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযান নিবন্ধন ফি, ওভারলোডিং ও অন্যান্য জরিমানা, মোটরযানের সিসি ব্যবহার থেকে আরোপিত চার্জ থেকে অর্থ জোগাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড গঠন করলেও বিধিমালা না থাকায় এখনো এই বোর্ড তহবিল জোগাড় করতে পারেনি।
তবে বোর্ডের উদ্যোগে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের তহবিল জোগাড়ের জন্য বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে।
বিধিমালায় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযান নিবন্ধন ফি, ওভারলোডিং ও অন্যান্য জরিমানা, মোটরযানের সিসি ব্যবহার থেকে আরোপিত চার্জ থেকে অর্থ জোগাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) বিভিন্ন সেতুর টোল ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীন বিভিন্ন সেতুর টোলের ২৫ শতাংশও নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে চলাচলকারী মোটরযানে ব্যবহার করা জ্বালানির মূল্য থেকে প্রতি লিটার বা ঘনমিটারে এক টাকা করে আদায় করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিধিমালার খসড়া ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ডের জন্য তৈরি করা বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
২০২১-২২ সালের এক প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) মহাসড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (এইচডিএম) বিভাগ জানিয়েছিল, দেশে ১৬ শতাংশ জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা সড়ক বিধ্বস্ত। এসব সড়ক মেরামতে পাঁচ বছরে ২০ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা দরকার। গত বছরের নভেম্বর থেকে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত জরিপ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সওজ অধিদপ্তর।
সওজ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সওজ অধিদপ্তরের অধীনে দেশে সড়ক ও মহাসড়ক আছে ২২ হাজার ৪২৮ কিলোমিটার। জাতীয় মহাসড়ক আছে তিন হাজার ৯৮৯, আঞ্চলিক মহাসড়ক চার হাজার ৮৯৭ ও জেলা সড়ক ১৩ হাজার ৫৪১ কিলোমিটার।
সওজ অধিদপ্তর বলেছিল, সড়ক-মহাসড়ক মেরামতে পাঁচ বছরে ২০ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা দরকার হবে।