নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
মসজিদের শহর কিংবা রিকশার শহর ঢাকা। কিন্তু বর্তমানে জ্যামের শহর হিসেবে অধিক পরিচিতি লাভ করে রাজধানী শহর ঢাকা। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করে যাচ্ছে এর তীব্রতা। এতে ঢাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় রাসেল। সকাল ১০টায় বাসে উঠলেও দুপুর একটা নাগাদ তার অবস্থান শাহবাগ। কথা বলে জানা যায়, মিরপুরে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে ইন্টারভিউ ছিলো রাসেলের। দুপুর ১১টা ৩০মিনিটে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু ১টা নাগাদ তার অবস্থান শাহবাগ। চোখেমুখে হতাশা আর অনিশ্চয়তা। সময় মতো ইন্টারভিউ দিতে পারবেন তো?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর থেকে জটের তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত মেট্রোরেল প্রকল্প, রাস্তা প্রশস্ত কিংবা, উড়াল সেতুসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় চলাচলের রাস্তা সরু হয়েগেছে। চলতে হচ্ছে একমুখী। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে রাস্তা খুঁড়াখুঁড়ির কাজ। আর এতে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি।
রাসেলের মতো এমন হাজারো নগরবাসীর সময় নষ্ট হচ্ছে এই ট্রাফিক জ্যাম নামক অভিশাপের কারণে। আ.খালেক বলেন, ‘গাড়িতো চলেই না। এক মিনিট সামনে গেলে ২০মিনিট থেমে থাকে। এক দিকে গরম অন্যদিকে গাড়িতে বসে থাকা। এর থেকে কষ্ট আর কিছু নেই।’
রাজধানীর যানজট নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এর ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়। গত কয়েকদিনের যানজট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। ।
সোলাইমান সুখন নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ট্রাফিক এলার্ট গ্রুপ ফলো করে যা বোঝলাম ঢাকার রাস্তায় বের হলে সাথে দুইচার দিনের শুকনা খাবার পানি, চিড়া, মুড়ি, জীবনরক্ষাকারী দরকারি ঔষধ ,মোবাইল চার্জার ,পরেরদিনের পত্রিকা ,১০০০ পাতার প্রিয় কোনো উপন্যাস ইত্যাদি সাথে নিয়ে বের হওয়াটাই উত্তম।’