ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দেশে ভোজ্যতেলের দাম যতটা বাড়ে তার পুরোটাই যাতে ভোক্তার ওপর না পড়ে সে বিষয়ে সরকারের চিন্তা থাকে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ থেমে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।
তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বিগ্ন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন কী কারণে দাম বাড়ছে। আমি আগেও বলেছি যে পরিমাণ দাম বাড়ে তার পুরোটাই ভোক্তার ওপর যাতে না পড়ে সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা থাকে। আমরা এজন্য ভাগাভাগি করে নেই। কিছু ভোক্তা বহন করবে, কিছু সরকার বহন করবে। এভাবেই আমরা একটা ইক্যুয়েশনের মধ্যে দিয়ে কাজগুলো করছি।
সুতরাং আমরা যদি শুধু এককভাবে ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দিতাম তাহলে তারা এটি বহন করতে পারতো না। অনেক বেশি ভর্তুকি প্রয়োজন। কী পরিমাণ ভর্তুকি প্রয়োজন, যদি আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের দিতো তাহলে ভালো হতো- যোগ করেন মুস্তফা কামাল।
ঋণ নিয়ে ইনফ্লেশন (মুদ্রাস্ফীতি) থেকে মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে। আমাদের ওপর যে প্রভাবটা পড়েছে এটার প্রতিফলন যেটি দেখছি সেটি কতটা হবে আমরা জানি না। তবে আমরা কোন উৎস থেকে অর্থায়ন করবো। সেটা যদি আমাদের জন্য ভালো হয়, কার্যকরী হয় এবং সেখান থেকে যদি আমরা কিছু সেভিংস করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা সেটি করবো।
মুদ্রাস্ফীতি বিষয়ে একটি সংস্থার সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কি নিয়মনীতি অমান্য করেছি? প্রত্যেক দেশেই একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে এগুলো পুনর্নির্ধারণ করে। আমরা এটি করলে অন্যায় কোথায় করেছি!
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি প্রতিনিয়ত হিসাব করা হয় না। কোয়ার্টারলি বা হাফ ইয়ারলি হিসাব করা হয়। আমরা প্রতি সপ্তাহে এটি চেঞ্জ করি না। এগুলোতে আমরা অনেকদিন পর হাত দেই। এগুলো বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বিশ্বাস করে। এখন এটি যদি আমাদের দেশের কেউ বিশ্বাস না করে, তাহলে ওনাদের তথ্য তো আমরা ব্যবহার করতে পারি না। তারা কীভাবে করে জানি না, তারা কী ভারত, রাশিয়া নাকি ফ্রান্সের ডাটা ব্যবহার করে সেটি আমরা জানি না। আমাদের ডাটা আমাদের কাছে আছে।