দীর্ঘদিন খনন না হওয়াতে ভরাট হয়ে গেছে হাওর, থাকেনা পর্যাপ্ত পানি

মৌলভীবাজার জেলার অবস্থিত হাওর ছড়া খাল দীর্ঘদিন খনন না হওয়াতে ইতিমধ্যে অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। থাকছেনা পর্যাপ্ত পানি। জেলায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি, কাউয়াদীঘি, হাইল হাওর ও বাইক্কাবিলসহ ছোট বড় ৬টি হাওর এবং প্রায় শতাধিকের উপরে ছড়া ও খালের একই অবস্থা। পানি না থাকাই কৃষকরা সময় মতো তাদের ফসলী জমিতে সেচ দিতে পারেন না। ফলে ক্ষতির মুখে পরছে কৃষকগণ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে জানা যায়, হাওর কাউয়াদিঘীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট রড় অসংখ্য খাল ও ছড়া। ছড়াগুলো প্রায় পানিশূন্য। ছড়ার পার দখল করে রেখেছেন পাশের জমির মালিকরা। দলী ধারা খাল দিয়ে অল্প পানিতে নৌকায় রশি বেঁধে টেনে টেনে উজান দিখে নৌকা তুলছেন কৃষকরা। যার ফলে চরম কষ্ট করতে হয় কৃষকদের। শ্রম ও খরচ হয় দ্বিগুণেরও বেশি। এদিকে হাকালুকি হাওরের আনফানাইয়ের উভয় পার ভরে গেছে। যার ফলে কৃষকরা নৌকা তুলতে পারেন না। 

কৃষকরা জানান, হাওরে যাতায়াতের জন্য এই এলাকায় সেরকম ভালো কোন রাস্তা নেই। হাওরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খাল ও ছড়ার পাড়কে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু একদিকে যেমন সেই ছড়াগুলো ভরাট হয়েছে। অন্যদিকে দু’পাড় কিছু প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ শিকারের জন্য গর্ত করে কেউ কেউ বানিয়েছেন ডোবা বা পুকুর। আবার কেউ কেউ ক্ষেতের জমি প্রশস্থ করেছেন। যার ফলে হাওরে বোরো ফসল বুনতে ও উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে চরম কষ্ট করতে হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদের।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান বলেন, হাওরের খাল খননের বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *