দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঈদ যাত্রায় মানুষের গ্রামে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কৌশলে বিভিন্ন রুটে চলছে দূরপাল্লার বাস।
গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায় বেশিরভাগ কাউন্টার বন্ধ। তবে আশপাশে ঘুরছেন টিকিট বিক্রেতারা। কাউন্টারে ঘুরতে দেখে অন্তত পাঁচজন জানতে চাইলেন ‘কোথায় যাবেন’।উত্তরের জেলা বা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, সব রুটের গাড়ির টিকিটই আছে তাদের কাছে। তবে অগ্রিম টাকা দিয়ে টিকিট নিশ্চিত করতে হবে। দাম দ্বিগুণেরও বেশি।
লকডাউনের শুরুর দিকে আমিন বাজার, হেমায়েতপুর এলাকা থেকে সামনে ‘পোশাক কর্মী পরিবহন’ লিখে দূরের জেলাগুলোতে বাস চলাচল করেছে বলে জানালেন বাস শ্রমিকরাই।তবে বৃহস্পতিবার থেকে কোনো বাস সাভার এলাকাতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। তখন স্থান বদলে ‘লুকোচুরি’ করে বাস ছাড়া হচ্ছে বাইপাইল ও চন্দ্রা এলাকা থেকে।সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জেলার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হলেও দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রকৌশলী আলিউল ইসলাম অনেকটা ‘লুকোচুরির’ মধ্যেই দিনাজপুর যাওয়ার বাসের টিকিট পান ।তিনি অগ্রিম টাকা দিয়েছেন বিকাশে। টিকিট কাটতে যেতে হয়েছে আশুলিয়ায়। আর মাইক্রোবাসে করে গিয়ে চন্দ্রা থেকে বাসে উঠেছেন। শুক্রবার রাতে রওনা দিয়ে দিনাজপুর পৌঁছেছেন শনিবার দুপুরে।
তিনি বলেন, “কাউন্টারে যাওয়ার পর বাস বন্ধ বলে জানানো হয়। তবে ফোন নম্বর চেয়ে নেন একজন কর্মী। কিছুক্ষণ পর ফোনে জানানো হলো বাস যাবে। এ জন্য আসতে হবে আশুলিয়ার বাইপাইলের আজিজ পাম্পে। আর টিকিট নিশ্চিত করতে অগ্রিম টাকা দিতে হবে বিকাশে।
লুকিয়ে বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাংসদ শাজাহান খান বলেন, কারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাস চালাচ্ছেন এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এসব দেখার জন্য পুলিশ ও প্রশাসন রয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। বিভিন্ন ‘এক্সিট পয়েন্ট’ থেকে দুই-চারটা গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। এর জন্য তো হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কোনো দায় নেই।