বর্তমান সময়ে অনলাইন শপ গুলো যেসকল পণ্য এর পোস্ট ছবিসহ দেয় তার সাথে বাস্তবে যে প্রোডাক্ট হাতে পাওয়া যায় তার কোন মিল থাকেনা। তারা দেখায় এক পণ্য আর দেয় অন্য পণ্য। দেখায় এক পণ্য আর দেয়
করোনা মহামারীর সময় অনলাইন শপ গুলো রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। যার ফলে ভোক্তা ও দোকানদারদের
উভয়ের অনেক সুবিধা হয়েছে। কিন্তু দুনিয়ায় কোন কিছুই সুষ্ঠুভাবে চলে না সব সময়। অনিয়ম দেখা দেবে।
অনলাইন শপ এর ব্যতিক্রম নয়।
দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের অনিয়ম। অর্ডার দিচ্ছে এক ধরনের পণ্য আর পাচ্ছে অন্য ধরনের পণ্য।
কেউ কেউ তো প্রোডাক্টটই পাচ্ছে না। শিকার হচ্ছেন হয়রানির। তাছাড়া সঠিক সময় ডেলিভারি না
পাওয়ার বিষয়টি তো আছেই।
এমনই অভিযোগ করেছেন একজন ছাত্রী মাইসা মালিহা করবি। তিনি Boop নামে একটি অনলাইন শপ থেক থ্রি পিস ক্রয় করেন। কিন্তু তাকে যে পণ্য দেখানো হয় ,দেওয়া হয় না সে পণ্য। বিষয়টি জানালে, দোকান কর্তৃপক্ষ জানায় পণ্যটি চেঞ্জ করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। অন্য কাস্টমারের সাথে পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে জানান। কিন্তু তারা আর পরিবর্তন করে দেননি। ফোন দিলে ফোন ধরেন না। ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা তার ছবি চেয়ে বসেন।
এ সকল অনলাইন প্রতারণা অহরহ ঘটে চলেছে আমাদের সমাজে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই মাথাচাড়া
দিয়ে উঠেছে কিছু প্রতারক চক্র। এসকল প্রতারণা রুখতে আমাদের এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আশ্রয় নিতে হবে আইনের। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতারণাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ। তাই অভিযোগ করুন এবং ভোক্তাকণ্ঠের পাশে থাকুন।
আরো সংবাদ দেখুন: অতঃপর আলি এক্সপ্রেসও নাম লেখালো, অনলাইন জগতে প্রতারক চক্রের আধিপত্য
আজ কাল অনেক নামি দামি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা বা হয়রানির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
যাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়াটা খুবই লজ্জাজনক।
এমনি একটি স্বনামধন্য অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হল আলি এক্সপ্রেস বাংলাদেশ।