বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যেই এবার আশার কথা শোনালেন ‘হু’ (WHO) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus), তাঁর দাবি, মরণ ভাইরাসের এই অতিমারীকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঠিকমতো ব্যবস্থা নিতে পারলে মাস খানেকের মধ্যেই এটা করা যাবে বলেই আশাবাদী তিনি।
সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এবিষয়ে মুখ খোলেন ঘেব্রিয়েসুস। তবে ‘হু’ প্রধানের গলায় এদিন কার্যতই ছিল উদ্বেগের সুর। যেভাবে সারা বিশ্বেই ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঘেব্রিয়েসুস। তিনি জানান, যেখানে অতিমারী শুরু হওয়ার পরে প্রথম ৯ মাসে ১০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, সেখানে পরবর্তী ৪ মাসেই তা পৌঁছে যায় ১০ লক্ষ। এদিকে পরবর্তী ৩ মাসেই তা পেরিয়ে গিয়েছে ৩০ লক্ষের গণ্ডি। করোনার মৃত্যুছোবলের এই দ্রুত বাড়তে থাকা ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে আশার বাণীও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। ‘হু’ প্রধানের কথায়, ‘‘এই অতিমারীকে মাস খানেকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনার উপায় রয়েছে আমাদের কাছে। তবে সেটা ধারাবাহিক ভাবে ও সমান ভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’’
এদিকে এদিন তিনি ছাড়াও ভারচুয়াল সম্মেলনে অতিথি হিসেবে সুইডেন থেকে যোগ দিয়েছিলেন পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ (Greta Thunberg)। টিকা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ধনী দেশগুলি তাদের তরুণ প্রজন্মের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা মানুষরা টিকা পাচ্ছেন না
গ্রেটার কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে যে মানুষদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাঁদেরই টিকাকরণে অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। সে তাঁরা ধনী কিংবা দরিদ্র যে দেশেরই বাসিন্দা হোন না কেন।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ধনী দেশগুলিতে এক চতুর্থাংশ মানুষদের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। সেখানে দরিদ্র দেশগুলিতে এই পরিসংখ্যান একেবারেই আলাদা। সেখানে প্রতি ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মধ্যে একজনের টিকাকরণ হয়েছে। এই ধরনের অসাম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন কিশোরী পরিবেশবিদ।