নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাটা জুতার নাম নকল করে তৈরি করছে বালা এবং এপেক্সের নাম পরিবর্তন করে এডেক্স জুতা তৈরা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এপেক্স এর অরিজিনাল লোগো নকল করে বিভিন্ন জুতায় ব্যবহার করা হচ্ছিল।
বুধবার পুরান ঢাকায় এমন নকল জুতা কারখানার সন্ধান পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক এবং ঢাকা জেলা প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারি পরিচালক মাগফুর রহমান।
অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় বেশ কিছু জুতার কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার নামের কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটিয়ে নকল জুতা তৈরি করা হচ্ছে। যেমন বাটা জুতার নাম দিয়েছে বালা, এপেক্স জুতার নাম দিয়ে এডেক্স। ইংরেজিতে নাম দেয়ায় ভোক্তারা সহজে বুঝতে পারবে না। এছাড়া এপেক্সের লোগো নকল করে ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এভাবে নকল জুতা তৈরি করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল কারখানাগুলো। তাদের প্রত্যেককে ভোক্তা অধিকারের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এবং ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরণের অপরাধ করলে আরও বড় শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে। ঈদকে সামনে রেখে ভোক্তা বিভিন্নভাবে প্রতারিত হতে পারে। ভোক্তা হিসেবে যদি মনে করেন আপনার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তাহলে আমাদের হট লাইন ১৬১২১ নাম্বারে কল করে অভিযোগ দিন। আমরা প্রমাণ সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
১৫৮ প্রতিষ্ঠানকে ১১.৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা
বিভিন্ন অপরাধের ভিত্তিতের সারাদেশে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের জুড়াইন ও বনশ্রীসহ দেশব্যাপী মোট ৭০টি বাজার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা-স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্ফলেট বিতরণসহ হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ১ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সংশ্লিষ্ট শিল্প বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত এসকল বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেটগণ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
আরইউ