নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্মাণ সামগ্রী রড, স্টিল, সিমেন্টাহ অন্যান্য জিনিসের মূল্য অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলো। মঙ্গলবার এমন তথ্য দিয়েছে ক্যাবের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্মাণ সামগ্রীতে ব্যবহৃত রড (আয়রণ), স্টিলের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ।
জনাব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ক্যাবের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবদুল হান্নান।
এ সময় তিনি বলেন, ভোক্তাদের সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ক্যাব। ক্যাবের কল সেন্টারের মাধ্যমে আসা অভিযোগ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তারা দেখলেন, অধিকাংশ কনস্ট্রাকশন কিংবা ডেভেলপার তাদের কাজ বন্ধ রেখেছে। যার মূল এবং প্রধান কারণ রড, স্টিল, সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি।
তিনি আরো জানান, ক্যাব নতুন করে নির্মাণ সামগ্রীর উপকরণ নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করছে।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বিএসএম এর সভাপতি মনোয়ার হোসেন, ট্রেড এর প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাহমুদ, বাংলাদেশ কনস্ট্রাকশান এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমল রায়সহ রড় কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা।
এ সময় মোঃ শাহরিয়ার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নির্মাণ সামগ্রীর দোকানগুলোতে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। যারা বাজারের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবসা করছে তাদের কয়েক দোকনীকে জরিমানাও করা হয়েছে।
একই ধরনের পণ্য রড়, সিমেন্ট ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন দামে বিক্রি কারণ জানতে চাওয়া হয় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও হটাৎ এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণসহ প্রোগ্রামের শুরুতে বিএসএম সভাপতি মনোয়ার হোসেন একটি বর্ণনা চিত্র তুলে ধরেন।
যেখানে ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে কাচামালের মূল্য বৃদ্ধি, দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এছাড়াও গ্যাস সরবরাহের কারণে তাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।
এ সময় ট্যাক্স কমানো, বিদ্যুৎ বিল কমানো, এবং গ্যাসের দাম কমিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান করেন ট্রেড কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান মতবিনিময় সভা শেষে একটা টিম গঠন করার কথা বলেন। যেখানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ ক্যাবের প্রতিনিধি, ট্রেডের প্রতিনিধিরা কাজ করবেন।
মে মাসের ৩০ এর মধ্যে গঠিত টিম একটি প্রতিবেদন জমা দিবে। সেই প্রতিবেদনের আলোকে সামনের দিকে কাজ করবে অধিদপ্তর।
এছাড়াও গ্যাস কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ন্যায় নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য নির্ধারণ করার বিষয়েও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রস্তাবনা রাখবেন বলে জানান ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।