ভোলা জেলা প্রতিনিধি,
ভোলার মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ লঞ্চঘাটে পন্টুন না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই তাদের লঞ্চে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে। অন্যদিকে লঞ্চগুলো তীরে ভেড়ার সময় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
মনপুরার সাথে ভোলা, ঢাকা ও হাতিয়ার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। তাই এই রুট দিয়েই যাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু মনপুরায় পন্টুন না থাকায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে দাঁড়িয়ে থেকে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা হয় যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের লঞ্চ থেকে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। ফলে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার পূর্বে পন্টুন না দিলে লঞ্চে ওঠা-নামা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রী মো. রাসেল, উৎপল দেবনাথ, মো. অনিক জানান, মনপুরা উপজেলার অন্যতম একটি লঞ্চঘাট রামনেওয়াজ। গত ২/৩ মাস ধরে ঘাটে পন্টুন নেই। এতে দুর্ভোগের সীমা নেই। আগে এখানে পন্টুন ছিল। তখন যাত্রীদের এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। খুব সহজেই যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারতেন। কিন্তু এখন যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে।
মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধূরী বলেন, পন্টুন না থাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কারণ লঞ্চগুলো সরাসরি বাঁধের ওপর ভিড়ছে। এতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রামনেওয়াজ ঘাটে আগে পন্টুন ছিল। মাসতিনেক আগে সেই পন্টুনটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের বার বার আগের স্থানে পন্টুন ফিরিয়ে আনতে বলেছি। কিন্তু এখনো তারা পন্টুন দেননি। এতে প্রতিদিনিই বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লটিএর সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রামনেওয়াজ ঘাটের এ স্থানটিতে আগে পন্টুন ছিল। সেখানে কিছুদিন পূর্বে একটি নতুন পন্টুন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটি রামনেওয়াজ ঘাট থেকে কিছুটা দূরে স্তনান্তরিত করা হয়েছে, তবে সেখানে লঞ্চ ভিড়তে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আগের স্থানেই পন্টুনবিহীনঘাটে লঞ্চগুলো নোঙ্গর দিচ্ছে। আমরা দ্রুতই ঘাটে পুনরায় পন্টুনটি স্থাপন করব।