দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
হিলি স্থলবন্দর ও উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক থাকলেও নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে।
এদিকে অত্যাধুনিক ওটি (অপারেশন থিয়েটার) থাকলেও সার্জারি কনসালটেন্ট না থাকায় বন্ধ রয়েছে অপারেশন কার্যক্রম। অপারেশন থিয়েটার চালুসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রোগীর এক্সরে করতে সর্বোচ্চ খরচ গুনতে হয় ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। আর বাইরে কোনো ক্লিনিকে করতে লাগে ৫০০ টাকার বেশি, আল্ট্রাসনোগ্রামেও সরকারি পরীক্ষার মূল্য ১০০ থেকে দেড়শ টাকা হলেও বাইরে গুনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসাসেবার একমাত্র এক্সরে মেশিনটি এক বছরের বেশি সময় ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও একজন রেডিওলোজিস্টের অভাবে হয় না পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এছাড়া উন্নতমানের অপারেশন থিয়েটার থাকলেও গাইনি সার্জারি ও সার্জারি কনসালটেন্টের অভাবে হয় না অপারেশন। ফলে দিনের পর দিন এসব চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
চিকিৎসা নিতে আসা কামরুল নামে স্থানীয় একজন বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। এখানে এলে ওষুধ ছাড়া কিছুই মিলে না।
রফিক নামে একজন বলেন, এখানে অপারেশন থিয়েটার আছে কিন্তু অপারেশন হয় না। আমাদের খুব দ্রুত এখানে চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হোক। কারণ বাইরে অপারেশন করতে গেলে আমাদের দ্বিগুণ খরচ করতে হয়।
হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, উপজেলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে এবং ভারতীয় ট্রাকচালকরা আসেন। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক অপারেশন করা যায় না। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বলেন, আমাদের অপারেশন থিয়েটার আছে। তবে গাইনি ও সার্জারি কনসালটেন্ট না থাকায় অপারেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছি না। আমি এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি খুব দ্রুত এটি চালু করা সম্ভব হবে।