পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় বুধবার থেকে প্রতিদিন দুটি করে পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। কঠোর নিষেধাজ্ঞার লকডাউনে যেন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সাশ্রয়ী খরচে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য এই প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পণ্য সাশ্রীয় খরচে পৌঁছে দিতে পশ্চিম রেলওয়ের এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেনারেল ম্যানেজার (পশ্চিম) এর জনসংযোগ সহকারী পরিচালক এস.এম সেলিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়- গত বুধবার থেকে প্রতিদিন দুটি করে স্পেসাল পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। প্রথম পার্সেল স্পেসাল ট্রেনটি খুলনা থেকে বিকাল ৪ টা ৪৫ টায় ছাড়বে এবং ভোর সাড়ে ৫ টায় চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি যশোর, কোটচাঁদপুর, সরদারপুর, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, ঈদ্বরদী, আব্দুলপুর, নাটোর, সান্তাহার, আক্কেলপুর, জয়পুরহাটসহ মোট ২৪টি স্টেশনে থামবে।
ট্রেনটি শনিবার, সোমবার ও বুধবার খুলনা থেকে এবং রোবাবর, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার চিলাহাটি থেকে ছাড়বে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্বিতীয় পার্সেল স্পেসাল ট্রেনে সংযুক্ত হয়ে ঢাকায় যাবে। দ্বিতীয় পার্সেল স্পেসাল ট্রেনটি দুপুর ১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) স্টেশন থেকে ছেড়ে রাত ৩ টায় ঢাকায় পৌছাবে এবং ঢাকা থেকে ভোর ৬ টায় ছেড়ে পঞ্চগর স্টেশনে রাত ৮ টায় পৌঁছাবে।
দ্বিতীয় পার্সেল স্পেসাল ট্রেনটি বী.মু.সি.ই স্টেশন থেকে প্রতি শনিবার, সোমবার, বুধবার এবং ঢাকা থেকে প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার চলাচল করবে। দ্বিতীয় পার্সেল স্পেসাল ট্রেনটি রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর, পাবর্তীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, নাটোর, ঈশ্বরদী, জয়দেবপুর, ঢাকাসহ মোট ২৩টি স্টেশনে থামবে। যদি পণ্যের সরবারাহ পর্যাপ্ত থাকে চাহিদা মোতাবেক স্টেশনে স্টেপেজ দেয়া যাবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন জানান, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে যেন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সাশ্রয়ী খরচে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছরের মতো এবারও পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করল। গত বছর পার্সেল স্পেশাল ট্রেন ও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।