ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই মাসকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার ফলের আড়তে ব্যাপক হারে বেড়েছে ফলের আমদানি। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ রমজান উপলক্ষে গতবারের তুলনায় বেড়েছে খেজুরের দাম।
পুরান ঢাকার সদরঘাট, ওয়াইজঘাট ও বাদামতলীর পাইকারি ফলের বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
খুচরা বাজারে কেজি প্রতি আম ২৫০ টাকা, আঙ্গুর ২০০-২২০ টাকা, ফুজি আপেল ১৬০- ১৮০ টাকা, হানিফুজি আপেল ১৪০ টাকা, নাশপাতি ২২০ টাকা, আনার ২২০-২৪০ টাকা, চোষা কমলা ১৫০ টাকা , মাল্টা ১৬০ টাকা, থাই পেয়ারা ৭০ টাকা, লাল ড্রাগন ৪৫০ টাকা। কলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, মনেক্কা কেজি প্রতি ২২০ টাকা, বড় সাইজের আনারস প্রতি জোড়া ১৫০ টাকা, তরমুজ সাইজ অনুযায়ী ১৫০-৩০০ টাকা, বাঙ্গি সাইজ অনুযায়ী ৫০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কমলার কার্টন প্রকার ভেদে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। এক কার্টন গ্রিন আপেল ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা। লাল আপেল ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এক কার্টন মালটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৭০০ টাকা।
খুচরা বাজারে কেজি প্রতি আজোয়া খেজুর ৩৫০ টাকা, ধাপাস খেজুর ২৬০ টাকা, কালমি খেজুর ৩০০ টাকা, ফরিদা খেজুর ২৮০ টাকা, বরই খেজুর ২৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বাদামতলী ব্যবসায়ী বাজার সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজান উপলক্ষে বেচাকেনা স্বাভাবিক আছে। তবে শিপিংয়ের ভাড়া বাড়ার কারণে গতবারের তুলনায় এবার ফলের দাম বেড়েছে। আমরা ৮০ শতাংশ যে খেজুর আমদানি করি সেটা কেজি প্রতি ৮০ টাকা। তবে যে খেজুরটা টিসিবি বিক্রি করে সেটা ১০ কেজি ১০০০ টাকা। অন্যান্য খেজুরের দাম বাড়তি থাকার কারণে ইরাকি জাহিদী খেজুর বেশি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যের দাম বাড়ার একমাত্র কারণ অতিরিক্ত শিপিংয়ের ভাড়া। সামনে পণ্যের দাম আরও বাড়বে। শিপিংয়ের ভাড়া ৩০০০ ডলার যেখানে ছিল সেখানে এখন ৯০০০ ডলার হয়ে গেছে। অর্থাৎ ভাড়া ৩ গুণ বাড়ছে। বিশ্ব বাজারে শিপিংয়ের ভাড়া যেখানে ১০০০ ডলার ছিল সেখানে ৪০০০ ডলার হয়েছে। মালিকদের সব টাকা শিপিং কোম্পানি নিয়ে যাচ্ছে।