নিজস্ব প্রতিবেদক
পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছেই। এ ঝাঁজ কমাতে আজ সোমবার জরুরি বৈঠকে বসছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠকে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, রবিবার দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা ও আমদানি করাটা ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাস্তবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এর দাম আরও বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেছে, প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৮ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হচ্ছে ৩৩ লাখ টন। সংরক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বাকি থাকে ২৩ লাখ টন। আর প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ফলে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ সবসময় উদ্বৃত্ত থাকে। বর্তমানে কৃষকের কাছে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চলা যাবে। অর্থাৎ দেশি পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ভারতে বৃষ্টি ও পূজার ছুটির অজুহাতে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করে দাম বাড়িয়েছেন।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মাজেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এর ফলে দাম বেড়েছে। গতবারের অভিজ্ঞতায় অনেকে আমদানির এলসি খোলেনি। তবে শুল্ক প্রত্যাহার হলে আমদানি বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, তবে আগে শুধু ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তার সঙ্গে সাউথের বেলোরি জাতের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দরে সাউথের বেলোরি জাতের পেঁয়াজ প্রতিকেজি পাইকারিতে (ট্রাকসেল) বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে আর ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে।