ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য কিনে বাস্তবে আর দাম সাশ্রয় হচ্ছে না। কারণ, একজন ক্রেতাকে মাথাপিছু দুই কেজি করে তেল, চিনি বা ডাল কেনার জন্য এর দ্বিগুণ অর্থাৎ চার কেজি করে পেঁয়াজ ও ছোলা কিনতে বাধ্য করছেন ডিলাররা। এ ‘প্যাকেজ’ ছাড়া তারা পণ্য বিক্রি করছে না।
কেন প্যাকেজে পণ্য বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিলারের বিক্রয়কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের বরাদ্দ যেভাবে, সেভাবে বিক্রি করছি। প্রতিটি ট্রাকে ৫০০ কেজি করে তেল (৫০০ লিটার), চিনি ও ডাল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ হাজার কেজি ছোলা ও পেঁয়াজ।’
তিনি বলেন, তেল ও চিনির থেকে ছোলা-পেঁয়াজ দ্বিগুণ পরিমাণে। তাহলে আমরা এ বাড়তিটা কি বাড়িতে নেব! প্যাকেজ ছাড়া বিক্রি করলে এসব কেউ নেবে না। ট্রাকে পড়ে থাকবে, লোকসান গুনতে হবে ডিলারকে।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেন, ‘পেঁয়াজ পচনশীল। টিসিবির কাছে বেশি পেঁয়াজ থাকায় সেটা বিক্রির জন্য দেওয়া হয়েছে। ছোলা রমজান উপলক্ষে বেশি দেওয়া হয়েছে। যেন একটি পরিবার একবার ছোলা কিনে পুরো রমজান খেতে পারে।’
তিনি বলেন, এখন ছোলা সবার প্রয়োজনীয়। সেজন্য সর্বোচ্চ চার কেজি বিক্রি করতে বলা হয়েছে ডিলারদের। তবে কেউ না নিলে সেজন্য জোর করা যাবে না।
এখন টিসিবিতে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৫০ টাকা দরে চার কেজি ছোলা এবং ৩০ টাকা দরে চার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে সোমবার ১৩৭টি ট্রাকসেলের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫ এবং চিনি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। সেজন্য এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে টিসিবির ট্রাকে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কিন্তু সেই সুযোগে পেঁয়াজ ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ছোলাও গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাইরে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দুই কিস্তিতে ১ কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম কিস্তি চলবে ২০-৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি চলবে ৩-২০ এপ্রিল।