নিজস্ব প্রতিবেদক:
মূল্য ছাড়ের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে অভিনব প্রতারণা করছে ‘ইরো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
পাঞ্জাবির প্রকৃত দাম ১১৯০ টাকা। মূল্য ছাড়ের নামে সেই পাঞ্জাবির দাম লাগানো হয়েছে ২৪৯০ টাকা। ৫০ শতাংশ ছাড় দিলে পাঞ্জাবির দাম আসে ১২৪৫ টাকা। যা প্রকৃত দাম থেকে ৫৫ টাকা বেশি।
ভোক্তাদের সঙ্গে এমন অভিনব প্রতারণা করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
পূর্ব অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ‘ইরো’ নামের পাঞ্জাবির দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।
অভিযানে দেখা যায়, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ৫০ শতাংশ ছাড়ে পাঞ্জাবি বিক্রির প্রচারণা করছিল ইরো। পাঞ্জাবির স্টিকারে এমআরপি লেখা রয়েছে ২৪৯০ টাকা। এই মূল্যের ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার লাগানো রয়েছে। সেখানে মূল্য লেখা রয়েছে ১৭৯০ টাকা এবং এর নিচে আরও একটি স্টিকার রয়েছে। সেখানে মূল্য লেখা রয়েছে ১১৯০ টাকা।
এমন বেশ কিছু পাঞ্জাবিতে মূল্য ছাড়ের নামে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, ঢাকা জেলা প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, একজন ক্রেতা ৫০ শতাংশ ছাড়ে পাঞ্জাবি কিনে প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ইরো নামের পাঞ্জাবির দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ১১৯০ টাকা দামের পাঞ্জাবির দাম বাড়িয়ে ২৪৯০ টাকা লিখে তার উপর ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। এতে পাঞ্জাবির দাম আসছে ১২৪৫ টাকা। যা প্রকৃত ১১৯০ টাকা দামের থেকেও ৫৫ টাকা বেশি। এটা ভোক্তাদের সঙ্গে একটা বড় ধরণের অভিনব প্রতারণা।
তিনি বলেন, ইরো প্রতিষ্ঠানের যেসব পণ্যে ছাড় দেবার কথা বলা হয়েছে, সব গুলোতেই এমন প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এমন অভিনব প্রতারণা করলে বড় ধরনের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার।
আরইউ