৫ মাস অপেক্ষার পরও পাওয়া যায়নি পন্য। উল্টো মিথ্যা আশ্বাসে হয়রানি করা হয় ক্রেতাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারি এবং মার্চে পন্য অর্ডার করলেও তা ক্যান্সেল করে দেয় মে মাসে এসে। প্রিয়শপ এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ঢাকায় বসবাসরত গাজী মো: মোকারম।
তিনি বলেন, ‘আমি গত ০৯ ও ২৩ জানুয়ারী ও ১৫ ও ২৩ মার্চ প্রিয়শপ থেকে লেক্ট্রজেন দুধ ও মোবাইল স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৫১ ও এ১২ অর্ডার করি পর্যায়ক্রমে। অর্ডার নাম্বার গুলো ৩৮১০৬২/ ৩৮২১২০/ ৩৮৭০৬১/ ৩৬৫৮৭৪/ ৩৬০৯৭১/ ৩৬১০৪৫/ ৩৬১০৬১/ ৩৬১৪৫৫। ডেলিভারির সময়সীমা পার হয়ে গেলে বহুবার সিসিতে কল করলে তারা শুধু ডেট দেয় কিন্তু পণ্য ডেলিভারি দেয় না। বার বার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে হয়রানি করে। আজ ৫মাস ঘুরিয়ে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে অর্ডার বাতিল করে দেয়। তারপর ক্রেডিট বেলেন্সে টাকা রিফান্ড দিল। তাদের কাসটমার কেয়ার বলছে আবার অর্ডার করতে। তাই এই সমস্যাটির সমাধান যে আমি ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র অভিযোগ করলাম।’
ভোক্তারা জানে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করা আইনত অপরাধ।
এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর নিয়মানুযায়ী ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান একই জেলায় হলে সাত দিনের মধ্যে ডেলিভারি এবং অন্য জেলায় হলে তা সর্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। এছাড়া পণ্য না দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।
তাই প্রতারিত হলে অভিযোগ করুন এবং পাশে থাকুন ভোক্তাকণ্ঠের। মনে রাখবেন, ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ।
আরও পড়ুন: প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে প্রিয়শপ