ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ৯৮টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিশুরা। এতে বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেখাপড়ায় আগ্রহী উঠছে তারা।
জানা গেছে, ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম (পিইডিপি-৪)’ প্রকল্পের অধীনে সোনাতলার ৯৮টি বিদ্যালয়ে দুই হাজার ৯৪০ শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
উপজেলার ৯৮টি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের বয়স ৮-১৪ বছর। দুই শিফটে ক্লাস পরিচালিত হয়। সকালের শিফট সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এবং বিকালের শিফট দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। প্রতিদিন ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে তিন ঘণ্টা। তবে অবস্থা ভেদে ক্লাস পরিচালনার সুযোগ রয়েছে।
ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি খাতা, পেন্সিল, রাবার, কাটার, ব্যাগ, ড্রেস, ড্রইং খাতা ও রঙপেন্সিল পেয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিমাসে প্রতিটি শিক্ষার্থী উপবৃত্তি বাবদ ১২০ টাকা করে পায়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকরা সম্মানী বাবদ প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পান। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় গ্রাম বিকাশ সংস্থা (জিবিএস) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
২০১৯ সাল থেকে এই প্রকল্পের কার্যক্রম মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বন্ধ ছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোনাতলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, সরকারের এই উদ্যোগে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় তিন হাজার শিশু শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে দেশের ৬১টি জেলার ৩৪৫টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমছে। বদলে যাচ্ছে অবহেলিত দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জীবন।
সোনাতলা উপজেলা প্রোগ্রাম কর্মকর্তা রুবেল সরকার জানান, এই প্রকল্পের অধীনে গ্রামের ঝরে পড়া শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা।