কেন বন্ধ হচ্ছে না প্রতারক চক্রের অনলাইন ব্যবসা ? অনলাইন ব্যবসা বা এফ-কমার্স পেইজে পণ্যের যে সকল ছবি দেখানো হয় অনেক সময়ই ক্রেতা সেই পণ্য পায় না। ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করে প্রতারিত হচ্ছে। তাছাড়া হয়রানি তো আছেই।
এমন অভিযোগ এসেছে Sabrina Collection-এর বিরুদ্ধে। Sabrina Collection ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে
বিভিন্ন ড্রেস এবং জুয়েলারির বিক্রি করে থাকেন। এবার অভিযোগ করেছেন রংপুরের শফিউল ইসলাম খান আঙ্কুর।
ভুক্তভোগী শফিউল ইসলাম খান আঙ্কুর জানান, তার স্ত্রী Sabrina Collection থেকে ২ জুন পণ্য অর্ডার করে এবং
তাদের পলিসি অনুযায়ী ঢাকার বাইরে হলে অ্যাডভান্স বিকাশ পেমেন্ট করতে হয়, সেটাও তিনি করেছেন। প্রায় ২০/২৫ দিন
ঘুরানোর পরে তারা বলে যে প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু যতবার ক্যাশ বা কুরিয়ারের মেমো চাওয়া হয় তারা দিতে পারে না, কিন্তু বলতে থাকে যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন
কুরিয়ারে কোন প্রোডাক্ট দেওয়ার পরে সেটা অনলাইনে নাম্বার দিয়ে চেক করা যায় কিন্তু রেগুলার চেক করার পরও তাদের
কোন হিস্টোরী পাওয়া যায় নি।
এভাবে প্রায় ২৫ থেকে২৬ দিন পরে যখন কুরিয়ারে প্রোডাক্ট দেয়, তারও তিন থেকে চারদিন পরে প্রোডাক্ট হাতে পান তিনি।
তবে যে প্রোডাক্ট পেয়েছেন সেটা আর তার অর্ডার করা পণ্য একই ছিল না। ব্যপারটি তাদের জানালে তারা তাকে ব্লক করে দেয়।
এই অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাদেরই কমেন্টে। ভুক্তভোগীর কাছে এই পেইজের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমান রয়েছে। তিনি এখন তার টাকা ফেরত চাইছে এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের নিকট এর যথাযথ বিচার দাবি করেছেন।
ভোক্তাদের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, “যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন”।
আরো সংবাদ দেখুন: টাকা পেয়েই ক্রেতাকে ব্লক, কচ্ছপ গতিতে ডেলিভারি দিচ্ছে REDX, দারাজের পণ্যে গুণগত মানের নিশ্চয়তা নেই