এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাল্টে গেছে বাজারের চিত্র। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম ছিল। ক্রেতাস্বল্পতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আর সবজির দামও আগের তুলনায় কম কিংবা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মিরপুর ১–এর শাহ্ আলী মার্কেট কাঁচাবাজার, মিরপুর-৬ নম্বর সেকশন কাঁচাবাজার এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা এবং শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ গত শুক্রবারই এই বেগুন আর শসা দ্বিগুণ দামে যথাক্রমে ১০০ আর ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল।
এই তিন বাজারে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, বরবটি ও করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে এই সবজিগুলোই ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।শাহ্ আলী কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোস্তাফা আহমেদ বলেন, ‘ক্রেতা নাই, তাই মাল বেচতে পারছি না। এমন সময় দাম বেশি চাইয়া কি মাল নষ্ট করুম?’
শান্ত ইসলাম মরিচ বিক্রেতা বলেন, লকডাউন শুরুর আগে ও পরে কয়েকটা দিন, দিনে দুই থেকে আড়াই শ কেজি মরিচ বিক্রি করেছি। এখন সারা দিনে এক শ কেজিও বেচতে পারি না।’ তাঁর দোকানে দুই ধরনের মরিচ তিনি ৪০ ও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি বিক্রির অংশে টুকটাক ক্রেতা আছে। তবে অলস সময় কাটাচ্ছেন মুদিদোকানি ও মাংস বিক্রেতারা। অলস ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পণ্যের দাম বলে ডাকাডাকিও করছিলেন।
জুনাইদ আলম নামের এক বিক্রেতা বলেন, লকডাউন শুরুর আগে অনেকে ৫ থেকে ১০ কেজি করে পেঁয়াজ-আলু কিনেছে। এখন কেউ এক-দুই কেজির বেশি কিনছে না। তাঁর দোকানে প্রতি কেজি আদা (দেশি) ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, রসুন (চায়না) ১১০ টাকা ও রসুন (দেশি) ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইফতারি তৈরিতে লাগে এমন বিভিন্ন পণ্যের দামও কমে গেছে। কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের মুদিদোকানিরা গত সপ্তাহে বাজারের ফর্দ ধরে পণ্য মাপতে মাপতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই দোকানিরা এখন বিকেলে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন।