ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৬০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নেত্রকোণা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চাঁদপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব মাহমুদা আক্তার ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক লালবাগ, চকবাজার, সূত্রাপুর ও কোতোয়ালী এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘সাত্তার স্টোর’, ‘আল্লাহর দান জেনারেল স্টোর’, ‘মেসার্স ইসমাইল জেনারেল স্টোর’, ‘সুমন স্টোর’, ‘শরিফা জেনারেল স্টোর’, সবুজ মুরগীর দোকান’, ‘শাহীনুর স্টোর’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘বাঘা বাড়ি মিষ্টিঘর’, ‘বিক্রমপুর এজেন্সী’ কে যথাক্রমে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘জামাল মেডিসিন’ কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ‘রিফাত মেডিসিন সেন্টার’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৫৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৬,৫০০/- (তিন লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩,০০০/- (তেরো হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৩,২৫০/- (তিন হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি, সর্বমোট ৬০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,৩৯,৫০০/- (চার লক্ষ উনচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।