ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৬০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, নেত্রকোণা, গাজীপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও পঞ্চগড়-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব মাহমুদা আক্তার ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক পল্টন, শাহবাগ, ওয়ারী ও পল্টন এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘সিরাজ ফুড’, ‘মীম ফ্রুটস কর্ণার’, ‘শরীফ ফ্রুটস’, ‘বাবলু স্টোর’ কে যথাক্রমে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘এন ই এল ভ্যারাইটিজ স্টোর’, ‘আলমগীর বেকারী’, ‘গ্রামীণ সুইটস মিট’, ‘অলিম্পিয়া বেকারী এন্ড কনফেকশনারী’, ‘মনোরম স্নেক্স’, ‘স্বর্ণা স্নেক্স’, ‘বেঙ্গল স্নেক্স’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘শাহবাগ মেডিসিন কর্ণার’ কে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,১২,০০০/- (এক লক্ষ বারো হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৫২টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৮৪,৭০০/- (তিন লক্ষ চুরাশি হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪,০০০/- (চব্বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৫ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি, সর্বমোট ৬০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৫টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,২০,৭০০/- (পাঁচ লক্ষ বিশ হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।