ঢাকা, ১৬ অক্টোবর বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ফরিদপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোণা, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, জামালপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, কুষ্টিয়া, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মাগফুর রহমান ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক তেজগাঁও, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, ওয়ারী ও গেন্ডারিয়া এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘চাঁদপুর হোটেল’, ‘ইউসুফ হোটেল’, ‘প্রোটিন হাউস’, ‘মতিন হোটেল’, ‘ইব্রাহিম হোটেল’, ‘ক্যাফে মুসলিম রেস্তোরাঁ’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘সাউদিয়া জেনারেল স্টোর’, ‘তাজওয়ার ফার্মা’, ‘মুসলিম সুইটস’, ‘প্যারিস বাকেড’, ‘বোম্বে কনফেকশনারী’, ‘তানিমস সুইট এন্ড বেকারী’, ‘ফারুক স্টোর’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘স্বদেশী বাণিজ্যালয়’, ‘২৪ নং আলহাজ আড়ৎ’, ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান’, ‘গাজী জেনারেল স্টোর’, ‘সাদ্দাম জেনারেল স্টোর’, ‘বেপারী এন্টারপ্রাইজ’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘হোম সুপার শপ’ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,৮২,০০০/- (এক লক্ষ বিরাশি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
দেশব্যাপী ৩৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৬৩,৫০০/- (চার লক্ষ তেষট্টি হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এবং, লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৪ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ২,২৫০/- (দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৪৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৪টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬,৫৪,৫০০/- (ছয় লক্ষ চুয়ান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।