ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৬৩ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনা-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব মাহমুদা আক্তার ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক রামপুরা, হাতিরঝিল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘ওমর ফারুক স্টোর’, ‘দাউদকান্দি রাইস স্টোর’, ‘মাসুম স্টোর’, ‘রহমান রাইস স্টোর’, ‘বড় মিয়া স্টোর’, ‘আবু তাহের স্টোর’, ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি ঘর’, ‘আইনালের মাংসের দোকান’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘বনফুল এন্ড কোং’, ‘কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্ট’ কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘এরাবিয়ান কেক এন্ড সুইট’, ‘ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৪৩,০০০/- (তেতাল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৫৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১২১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৮৪,৭০০/- (তিন লক্ষ চুরাশি হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৪ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৬,২৫০/- (ছয় হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৬৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৪টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,৫২,৭০০/- (চার লক্ষ বায়ান্ন হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।