ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৬৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, ফরিদপুর, জামালপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুনা, দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবাদ্ধা ও লালমনিরহাট-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব মাহমুদা আক্তার ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক উত্তরা, দারুস সালাম ও সূত্রাপুর এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘সোলাইমান স্টোর’, ‘রুবেল জেনারেল স্টোর’, ‘নুসাইবা স্টোর’, ‘আসমত মুরগীর দোকান’, ‘আজিজ মুরগীর দোকান’, ‘তৈয়ব স্টোর’, ‘জাহাঙ্গীর স্টোর’, ‘বাবুল হোসেন স্টোর’, ‘মুজাহিদ স্টোর’, ‘মানিক স্টোর’, ‘আল আমিন স্টোর’, ‘মেসার্স পবিত্র ভান্ডার’ কে যথাক্রমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘শহিদ হোটেল’ কে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৪,৫০০/- (চৌদ্দ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৬২টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১৪১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫,২৬,৮০০/- (পাঁচ লক্ষ ছাব্বিশ হাজার আটশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১২,০০০/- (বারো হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৬৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,৫৩,৩০০/- (পাঁচ লক্ষ তিপ্পান্ন হাজার তিনশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।