ঢাকা, ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৫৫ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ফরিদপুর, নেত্রকোণা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শেরপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাগফুর রহমান ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ওয়ারী বাজার, মগবাজার কাঁচা বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘ইউসুফ স্টোর’, ‘এমদাদুল স্টোর’, ‘পবির স্টোর’, ‘পলাশ এন্টারপ্রাইজ’, ‘সোহাগ জেনারেল স্টোর’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ওজনে কারচুপির অপরাধে ‘সততা মুরগির আড়ৎ’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘রাজধানী ফার্মেসী’ কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘এ.কে স্টোর’ কে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৫ জুলাই ২০২০ তারিখে সর্বমোট ৩১,০০০/- (একত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
দেশব্যাপী ৯৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ৯,৬৮,১০০/- (নয় লক্ষ আটষট্টি হাজার একশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা এবং প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২,২৩,০০০/- (দুই লক্ষ তেইশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৬জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৫৫,৭৫০/- (পঞ্চান্ন হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ১০৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৬টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৭৬টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১২,২২,১০০/- (বারো লক্ষ বাইশ হাজার একশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।