ঢাকা, ২ অক্টোবর বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) ফাহমিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল ১ অক্টোবর সোমবার, প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৩৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ফরিদপুর, গাজীপুর, নেত্রকোণা, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও-তে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক গুলশান ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘কফি ওয়ার্ল্ড’ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মনির হোসেনের পেয়াজের দোকান’, ‘আহসানের পেয়াজের দোকান’, ‘তৃষা জেনারেল স্টোর’, ‘মনির হোসেনের পেয়াজের দোকান’, ‘সুরুজ আলী স্টোর’, ‘জলিল জেনারেল স্টোর’, ‘মিলন জেনারেল স্টোর’, ‘সুজন এন্টারপ্রাইজ’, ‘মুন্সিগঞ্জ বাণিজ্যালয়’, ‘মাদারিপুর ট্রের্ডাস’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা এবং খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণের অপরাধে ‘সিয়ামের চাউলের দোকান’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৫১,০০০/- (একান্ন হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর শাহ আলী এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১১,০০০/- (এগার হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ২৯টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৭১,১০০/- (তিন লক্ষ একাত্তর হাজার একশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
একই দিনে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২৭,৪০০/- (সাতাশ হাজার চারশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৮ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৬,৮৫০/- (ছয় হাজার আটশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৩৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৮টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,৬০,৫০০/- (চার লক্ষ ষাট হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।