ঢাকা, ৭ এপ্রিল মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৬১ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
কর্মদিবসের শুরুতেই সকাল ৯:১৫ টা থেকে ১০:০০ টা পর্যন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক জনাব রজবী নাহার রজনী, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব তাহমিনা বেগম, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান ও জনাব জান্নাতুল ফেরদাউস এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর রামপুরা, মধুবাগ, মালিবাগ, শাহজাহানপুর, মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, ভাটারা, গুদারাঘাট, গুলশান-২, কারওয়ান বাজার, কলমীলতা, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, আনন্দ বাজার, মৌলভীবাজার, পলাশী ও হাতিরপুল বাজার এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ৫৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারিককালে ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয় এবং বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। এ সময় বাজার পরিস্থিতির এ স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে সম্মানিত ক্রেতা/ভোক্তা সাধারণকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়/সংগ্রহ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। একইসাথে সম্মানিত পাইকারি ব্যবসায়ী এবং খুচরা ব্যবসায়ীবৃন্দকেও গ্রহণযোগ্য মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অনুরোধ করা হয়। টিসিবি কর্তৃক পরিচালিত ট্রাক সেল কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়।
বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘সাজিয়া স্টোর’, ‘মনিরের গোস্তের দোকান’, ‘মিন্টূর চালের দোকান’, ‘আরিফ ফল ভান্ডার’, ‘আল্লার দান ফলের দোকান’, ‘মোবারক স্টোর’, ‘শামসুর গোস্তের দোকান’, ‘মেসার্স খোকন এন্টারপ্রাইজ’, ‘কুন্ড চাউল ঘর’ কে যথাক্রমে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৮,৫০০/- (আট হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
গতকাল ৬ এপ্রিল, সর্বমোট ৬১টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮,৫০০/- (আট হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।