ঢাকা, ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৫৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, ফেনী, কুমিল্লা, রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, ভোলা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
কর্মদিবসের শুরুতেই সকাল ৯:১৫ টা থেকে ১০:০০ টা পর্যন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুল জব্বার মন্ডল, জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব জান্নাতুল ফেরদাউস ও জনাব মাহমুদা আক্তার এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, পান্থপথ (বৌ বাজার), মোহাম্মদপুর (কৃষি মার্কেট), মোহাম্মদপুর (টাউন হল বাজার), মোহাম্মদপুর (শিয়া মসজিদ বাজার), হাজারীবাগ, জিগাতলা, তেজকুনীপাড়া, শেওরাপাড়া, রূপনগর, গুলশান-১ কাঁচাবাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার, মধুবাগ কাঁচাবাজার, ইন্দিরা রোড কাঁচাবাজার ও পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ৪৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকিকালে ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয় এবং বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। এ সময় বাজার পরিস্থিতির এ স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে সম্মানিত ক্রেতা/ভোক্তা সাধারণকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়/সংগ্রহ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। একইসাথে সম্মানিত পাইকারি ব্যবসায়ী এবং খুচরা ব্যবসায়ীবৃন্দকেও গ্রহণযোগ্য মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অনুরোধ করা হয়। টিসিবি কর্তৃক পরিচালিত ট্রাক সেল কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়।
বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘সেলিম মাংসের দোকান’, শাকিল মাংসের দোকান’, ‘হিমেল স্টোর’, ‘মেসার্স তাজ জেনারেল স্টোর’, ‘মাওলার সবজির দোকান’, ‘আলমের গোসতের দোকান’, ‘সবজির দোকান’, ‘রুবি কনফেকশনারী’, ‘ইমপেরিয়াল জেনারেল স্টোর’ কে যথাক্রমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
গতকাল ১৫ এপ্রিল, সর্বমোট ৫৬টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।