বান্দরবানে জুমের পাশাপাশি পাহাড়ের গায়ে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। চলতি বছর মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হওয়ায় খুবই খুশি তারা।
পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত ম্রো (মুরুং) সম্প্রদায়ের জনগণের জীবনধারণের প্রধান উৎস জুম চাষ। কঠোর পরিশ্রমী ম্রো চাষিরা বর্তমানে জুমের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলদ বাগান করেও স্বচ্ছল হচ্ছেন। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বান্দরবানে ব্যাপকহারে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন তারা।
বান্দরবান সদরের এম্পুপাড়া, টংকাবতী, চিম্বুক, ওয়াইজংশন, বসন্তপাড়া, ব্রিকফিল্ড এলাকা ছাড়াও রুমা ও থানচি উপজেলায় এবার ব্যাপক ফলন হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার, আর বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে অনেক চাষি।
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের মিষ্টি কুমড়া চাষি অপং ম্রো বলেন, এ বছর দুই শতাংশ জমিতে চাষ করা মিষ্টি কুমড়া বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছি। দাম ভালো, তাই বিক্রি শুরু করে দিলাম।
তিনি আরো বলেন, গত বছর লকডাউনে বিক্রি কম ছিল, অনেক লোকসান হয়েছিল এজন্য। তবে এবার যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন দুর্গম পাড়ায় এসে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন পাইকাররা। ফলে বিক্রি বেড়েছে মিষ্টি কুমড়ার।
বান্দরবানের টংকাবতী এলাকার চাষি ইয়ং ম্রো বলেন, আমরা পাহাড়ে জুমের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া চাষ করি, এটা প্রতিবছরই আমরা করে থাকি। মিষ্টি কুমড়ার ফলন বাড়লে আমাদের বিক্রি করে অনেক লাভ হয়। আমরা কুমড়া বিক্রির টাকা দিয়ে পরিবারের খরচ অনেকটা মেটে।
গত বছর লকডাউনে বান্দরবানে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পেলেও এবার মনপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন চাষিরা। পাইকারি বিক্রেতারা ও বান্দরবানের এ সুস্বাদু এবং সুমিষ্ট মিষ্টি কুমড়া পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে সরবরাহ করছেন দেশের নানা প্রান্তে।