নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুবার বায়ুদূষণ শহরের শীর্ষ স্থান দখল করেছে রাজধানী শহর। দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ নিয়মিতই এমন সমীক্ষা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা দূষিত শহরের তালিকায়। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকা শহর।
বায়ুদূষণের কারণে ঢাকা শহরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। শিশুদের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি নানা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, বাতাসে ভারী ধাতু ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা বেড়ে গেলে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, স্নায়ুজনিত সমস্যা বেড়ে যায় এবং বুদ্ধিমত্তা কমে যায়।
বায়ুমণ্ডলীয় অধ্যায়ণ কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বায়ুদূষণ তিন শ্রেণির মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। শিশু কিশোর, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মায়েদের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এই বায়ুদূষণ।
এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য সম্মিলিত কাজ করার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ঢাকা শহর বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে। সেদিন শহরের বাতাসের মান সূচক (একিউআই) ২৬৯ রেকর্ড করা হয়েছিল। সাধারণত ১০০ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে সংশ্লিষ্ট শহরের পরিবেশ বসবাসের জন্য খারাপ এবং ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত হয়। বাতাসের মান নির্ণয়ের জন্য একিউআই একটি সূচক।