ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসের প্রায় অর্ধেক সময় চলে গেলেও মাংসের দাম কমছে না। এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীতে হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজিতে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর দাম কমেনি, তাই আমরা কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারছি না। গত এক সপ্তাহ ধরে গরুর মাংসের কেনা-বেচা একদম কম। ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাংসের দামও। তাই অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার পর মাংস কেনার মতো টাকা হয় না অনেকের। তাই মাংস কিনতে পারছেন না মানুষ।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ এবং বাড্ডা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। হাড়সহ মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়। আর গরুর বট বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। এসব এলাকার মূল বাজারের পাশাপাশি অলিগলিতে কিছুটা কম-বেশি দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, শনিবার রাজধানীতে গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৬৮০ টাকায়। যা এক মাস আগেও ছিল ৬২০-৬৫০ টাকা। এক বছর আগের একই সময়ের চিত্র ছিল আরও ভিন্ন। ওই সময় গরুর মাংসের কেজি ছিল ৫৭০-৬০০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮০-১২০ টাকা।
এদিকে রমজান মাসে মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে রাজধানীর ১০টি স্থানে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ৪ এপ্রিল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারপরও গরুর মাংসের দাম কমছে না।
টিসিবির তথ্য মতে, রাজধানীতে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯৫০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৭০ টাকা কেজিতে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে।
জানতে চাইলে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, মাংস ব্যবসা এখন আর খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে নেই। আমদানিকারকদের হাতে চলে গেছে মাংসের বাজারের নিয়ন্ত্রণ। সরকারের উচিত বাজার তদারকি করা।