বরিশালের হিজলা উপজেলায় এক পোলট্রি ফার্মে সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় ফার্মে এক হাজার মুরগি থাকা সত্ত্বেও লাইন সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। এতে ফার্মের প্রায় চার শতাধিক মুরগি মারা যায়। রোববার দুপুরে পোলট্রি ফার্মের মালিকের অনুপস্থিতে বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।
উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাউলতলা গ্রামের মকবুল হোসেন মালের ছেলে আবু হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ কয়েক মাস যাবত তার মুরগি ব্যবসায় চরমভাবে লোকসানের সম্মুখীন হয়। তাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে তার নামে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়। তিনি সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। আর এতেই তার ফার্মের প্রায় চার শতাধিক মুরগি মারা যায়।
যুগান্তর থেকে জানা যায় গত বছর করোনা থাকায় আবু হানিফ তার ফার্মে প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই এ বছর পূর্বের লোকসান পোষানের জন্য আবার নতুন করে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ করে এক হাজার মুরগির বাচ্চা তোলেন। আবু হানিফ লেখাপড়া করে স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হওয়ার। তাই তিনি হাফেজ হয়ে মসজিদের ইমামতির পাশাপাশি গড়ে তোলেন পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা।
আবু হানিফ আরও জানান, সকালে আমার কাছে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে মোবাইল ফোনে কল করে বকেয়া বিদ্যুৎ চায়। আমি তাদের কাছে বলেছি যে, মুরগিগুলো বিক্রি করে বকেয়া বিল পরিশোধ করে দিব। দুপুরে আমি মুরগিগুলোকে খাবার দিয়ে নামাজ পড়াতে যাই। নামাজ শেষে এসে দেখি ফার্মের ফ্যান চলে না। কিন্তু অন্য ঘরে বিদ্যুৎ আছে আমার মিটারের লাইন কাটা। খামারের মুরগিগুলো ছটফট করে প্রায় ৪০০টি মারা যায়। তখন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা জানায় বিল পরিশোধ করলে সংযোগ দেবে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের হিজলা উপজেলা এরিয়া জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, আবু হানিফকে একাধিকবার বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এনএইচ