ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসানোর জন্য সাত প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। মূলত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ সাত প্রতিষ্ঠানই অনুমতি চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল।
প্রতিষ্ঠান সাতটি হলো : স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
চিঠিতে বলা হয়, স্টেমজ হেলথ কেয়ার তিন দিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, তারা নমুনা পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করেছে দুই হাজার টাকা। সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে পাঁচ দিন, নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে এক হাজার ৮৫০ টাকা। এএমজেড হাসপাতাল পাঁচ দিনে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, নমুনা পরীক্ষায় খরচ নেবে এক হাজার ৮০০ টাকা।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চার দিনে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ দেখিয়েছে ২ হাজার টাকা। জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব স্থাপনে ছয় দিন ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, তারা খরচ চেয়েছে এক হাজার ৭০০ টাকা।
পাঁচ দিনে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে গুলশান ক্লিনিক, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ডিএমএফআর ল্যাব স্থাপন করতে সময় চেয়েছে চার দিন, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ দুই হাজার ৩০০ টাকা চেয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সাতটি নির্বাচিত ল্যাবকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) আলোকে ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয় স্থান বরাদ্দসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উড়োজাহাজে চড়ার কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদের বাধ্যবাধকতার কারণে গত ১৩ মে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না বাংলাদেশিরা।