ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ভোজ্যতেলের দাম কমাতে বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন দর। তারপরও বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে সয়াবিন তেল।
ব্র্যান্ড ভেদে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। আর পাঁচ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৭৭০ থেকে ৭৮০ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা; খোলা পামওয়েল ১৫৬ থেকে ১৫৮ টাকা।
এদিকে লাগামহীন ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে গত মাসে কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে মাত্র ৫ শতাংশ বহাল রেখে ভোজ্যতেলের আমদানি, পরিশোধন ও ভোক্তাপর্যায়ে বিক্রিতে থাকা সব ধরনের ভ্যাট তুলে নেয় সরকার। এতদিন ভোজ্যতেলের ওপর তিন স্তরে ৩৫ শতাংশ ভ্যাট ধার্য ছিল।
পরে গত ২০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে লিটারে সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা কমিয়ে নতুন দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই ঘোষণা অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা যা আগে ছিল ১৪৩ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা, আগে ছিল ১৬৮ টাকা। এছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল তেল ৭৬০ টাকা, আগে যার দাম ছিল ৭৯৫ টাকা।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল ঢাকার বাজারে খুচরা এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৫ টাকা। এক বছর আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। পাঁচ লিটারের দাম এখন ৭৬০ টাকা; এক বছর আগে ছিল ৬৫০ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৫৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে; এক বছর আগে ছিল ১২১ টাকা।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এক বছরে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। আর খোলা তেল বেড়েছে প্রতি লিটারে ৩৩ টাকা।