ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
ভারতে আবারও করোনাভাইরাস নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়ার পরই দেশটিতে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল আক্রান্তের সংখ্যা। এবার ওমিক্রনের নতুন দুই সাব-ভ্যারিয়েন্টেরও খোঁজ মিলল প্রতিবেশী এই দেশে। দেশটির মহরাষ্ট্রে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৭ জন রোগীও শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়, রাজ্যে প্রথমবারের মতো ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ ও বিএ.৫-র খোঁজ মিলেছে। মোট সাতজনের শরীরে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। এদের মধ্যে চারজন বিএ.৪ সাব ভ্যারিয়েন্ট ওবং তিনজন বিএ.৫ সাব ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পুনে শহর থেকেই আক্রান্ত সাতজনের খোঁজ মিলেছে। প্রত্যেকেরই মৃদু উপসর্গ ছিল এবং বাড়িতেই তাদের চিকিৎসা করা হয়েছে। এর আগে ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের খোঁজ গত এপ্রিল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া গেলেও ভারতে এই প্রথম ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ সাব ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলল।
মহারাষ্ট্র সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। প্রথমে ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের পক্ষ থেকে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কথা জানানো হয়। এরপরে তা ফরিদাবাদের ইন্ডিয়ান বায়োলজিক্যাল ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে যাচাই করে নিশ্চিত করা হয় যে ওই সাতজন ওমিক্রনের নতুন দুই সাব ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে চারজন বিএ.৪ ভ্যারিয়েন্টে এবং বাকি তিনজন বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। চারজনের বয়স ৫০ বছরের বেশি হলেও ২০ থেকে ৪০ বছরের বয়সসীমার মধ্যেও দুইজন আক্রান্ত রয়েছেন। নয় বছরের এক শিশুও ওমিক্রনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
৯ বছরের ওই শিশু ছাড়া আক্রান্ত বাকি ছয়জনই করোনা টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া ছিল। একজন বুস্টার ডোজও নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন দক্ষিণ আফ্রিকা ও বেলজিয়াম থেকে সম্প্রতি ফিরেছিলেন। অপর তিনজন কেরালা ও কর্নাটকে গিয়েছিলেন। কেবল দুইজন রোগীর কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই।
এদিকে টানা পাঁচ দিন ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা রয়েছে দুই হাজারের ওপরেই। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৮ জন। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৮৫ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মারা গেছেন ১৪ জন। এর মধ্যে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। রাজ্যটিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ডে মারা গেছেন একজন।