বাংলাদেশে আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনা। রূপ পালটে আরও ঘাতক হয়ে উঠেছে ভাইরাসটি। এহেন পরিস্থিতিতে সংক্রমণে লাগাম টানতে ভারত-সহ ৮টি দেশ থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মূলত করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের জন্যই বাংলাদেশে লাগামছাড়া হয়েছে সংক্রমণের গতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন চলাকালীন বিনা কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হলে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম। লকডাউনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে খাবারের দোকান ও রেস্তরাঁ। তবে, কেউ রেস্তরাঁয় বসে খাবার খেতে পারবেন না। শুধুমাত্র অনলাইন অর্ডার ও টেক অ্যাওয়ে সেবা চালু থাকবে। বিধিনিষেধের মধ্যেও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাঁদের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল।
সোমবার বাংলাদেশের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ আটটি দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবে না। তবে বাংলাদেশি প্রবাসী বা নাগরিকেরা ১৫দিন আগে এসব দেশে গিয়ে থাকলে দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। এছাড়া আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-সহ ১২টি দেশ থেকে যে কেউ আসতে ও যেতে পারবেন। তবে ভ্রমণকারীদের শর্ত সাপেক্ষে হোম কোয়ারেন্টাইন ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকার বাইরে থাকা বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকে বাংলাদেশে সফর করা যাবে। তবে দেশে আসার ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।
সুত্র: [সংবাদ প্রতিদিন]