আর্থিকভাবে দুর্বল যেসকল শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পায় তাদের থেকে স্কুলের বেতন নেওয়ার বিষয়টিতে একজন ভোক্তার অধিকার ক্ষুন্ন হলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রুহুল আমিন সেই বিষয়টির সুরাহা করে দেন। যা তিনি ফেসবুকে পোস্ট করার পর সকলের কাছেই আরেকবার প্রশংসার পাত্র হয়ে পড়েন।
রুহুল আমিনের ফেসবুকের পোস্ট মতে, একজন মহিলা শুদ্ধাচার নামের এক ফেইসবুক আইডি তে ইউএনও রুহুল আমিনের ভোক্তা অধিকার রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন। সেই কারণেই তিনি রুহুল আমিনের কাছে আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীরা যে উপবৃত্তি পায় তাদের থেকে যেনো স্কুলের বেতন না রাখা হয় তার জন্যে অনুরোধ করেন। ইউএনও রুহুল আমিন সেই কথার উত্তরে বলেন যদি তিনি এই বিষয়ে সত্যতা প্রমাণ পান তাহলে ২ /৩ ঘণ্টা পর সেই অতিরিক্ত বেতনের টাকা তার কাছ থেকে ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেন।
২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন রুহুল আমিন। যোগদনের পর থেকেই হালদাকে(নদী) রক্ষা করার শপথ নেন। তার নানামুখী কর্মকাণ্ডে দেশব্যাপী সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। হালদা নদী রক্ষায় তার ছিল নিয়মিত অভিযান। কি রাত কি দিন, যখনই হালদা নদীতে জাল ফেলার খবর পেয়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে যান তিনি। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ছিল তার ১৭৮তম অভিযান। এ অভিযানই হালদায় তার শেষ অভিযান।
তার এই অসাধারণ কার্যকলাপের জন্য তাকে তার এলাকার মানুষ এবং সামাজিক মাধ্যমের অনেকেই খুবই শ্রদ্ধা করে থাকেন। তার করা এই ফেসবুক পোস্টে তার প্রশংসা করে অনেকেই কমেন্ট করেছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, “আপনাকে হাটহাজারীবাসীরহৃদয়ে ধরে রাখবে অনন্তকাল। শুভ কামনা প্রিয় ভাই রুহুল আমিন” এবং আরেকজন লিখেন, “আপনার মত সৎ নির্ভীক যোগ্য অফিসার এদেশে অনেক বিরলসমগ্র চট্টগ্রামবাসীকে আপনি ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছেন..আপনার জন্য শুভ কামনা ভাইজান”।
বর্তমানে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার মত মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়, সেজন্যই এরকম রুহুল আমিন এর মত মানুষ সবার কাছে প্রশংসার পাত্র হয়ে থাকেন। রুহুল আমিনের কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই চায় যেন উনার মত ইউএনও সকল জেলাতেই থাকে। আর আমাদের সকলের উচিত উনার এই বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের মাঝে উনার আদর্শ গড়ে তোলা।